“সাগর যাহার বন্দনা রচে”: মধ্যযুগে বাংলা পদ্যসাহিত্যের বিবর্তন
[ এই লেখাটা গপ্পোবাগীশ প্রকাশনীর মালিক অনুরোধ করেন লিখতে। কিন্তু লেখা দেবার পরে , এবং গত দুই - মাসে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁরা না তো বইটার কোনো ডিটেলস্ পাঠান , না অথরস্ কপি— আর না লেখকের প্রতি সামান্যতম সৌজন্য দেখাবার প্রয়োজন বোধ করেন। বইপাড়ায় এত খারাপ অভিজ্ঞতা আমার আগে হয়নি। লেখাটা তাই এখানে তুলে রাখলাম। ] ‘কথার মাহাত্ম্যকে তুমি অস্বীকার করছ, বন্যা?’ অবাক হয়েছিলেন প্রবীণ রবীন্দ্রনাথের পিতৃদ্রোহী মানসপুত্র অমিট্রায়ে [১]। আদ্যিকাল হতে মানুষ তার হৃদয়ের আবেগকে মূর্ত করে তুলেছে ভাষায়; যেই আদিম মানবী কোলের শিশুকে সরল আনসফিস্টিকেটেড্ ঘুমপাড়ানি গানের গুনগুনানি শুনিয়েছিলেন— বাকী জগতের থেকে বিচ্ছিন্ন মা-ছেলের অবচেতনের অন্তঃপুরে— তাঁর সেই ‘আধেক হৃদয় ঋণ’ গেঁথে গিয়েছিল কাঁচা বয়সের মানবতার মনে। বহির্বিশ্বের নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব যখন তাকে হতাশ করেছে, তখন অন্তর্মুখী হয়েছে সে সেই অব্যক্ত আবেগের উৎসের পানে, সেই দুখ-জাগানিয়ার নয়নের পানে। তারপরে, ক্রৌঞ্চবিরহী কবি তমসার তীরে উচ্চারণ করলেন সেই বাণী, বেদভাষা যাতে গান হ’য়ে উঠল [২]। তখনও লেখনীর চল হয়নি। ফরমায়েশি লেখা আমার আসে না, ওসব ঝামেলার মধ্যে আমি ...