নিষ্প্রয়োজন

ভবিষ্যৎ থাক্ না তাঁরই যাঁর সে শিরঃপীড়া,
যাঁহার হাতে বাজছে কালের বেসুর মন্দিরা।
        দেউলচূড়ার কারিগরি
        কী হবে তার সূত্র পড়ি’?
আমি নেহাৎ গাইব আমার সরল সুরে গান
সে মন্দিরের গর্ভগৃহে, সে মোর অভিমান!

কালের চাকা ঘোরান তিনি যাঁহার কাঁধে ন্যস্ত,
ওরা তাহার অর-ব্যাসে হোক্ না শশব্যস্ত।
        আমি শুধু মনে মনে
        সেই চাকারই রথ-কেতনে
বেঁধে দেব বিজয়মালা আকন্দপল্লবী;
রথের গায়ে এঁকে দেব পুরাণ-কথার ছবি।

আমি যে সেই সৌতি চারণ, রথের আগে আগে
যে যাবে গো অভিযানের সেনার পুরোভাগে।
        শিরস্ত্রাণের গর্ব বিনে
        পথটি তাঁহার নেব চিনে,
সেনানায়কের অশ্বখুর শঙ্খধ্বনি ছাড়ি’
থাকব মিশে সিক্ত কমলনয়ন-তারায় তাঁরই॥

Comments

Popular Posts