উত্তিষ্ঠত

রিয়াসিতে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের ওপর কাশ্মীর বিচ্ছিন্নতার সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণে, এবং তদুপরি ভারতীয় বিদ্বৎসমাজের এমন অর্থবহ মৌনতার পরিপ্রেক্ষিতে—

আজকে ভারতসাগর মথিয়া ওঠে ক্রন্দন-ধ্বনি,
চন্দ্রচূড়ের জটাতে গঙ্গা-স্রোত কাঁপে অনুরণি;
        মর্ত্যে সাগর গুমরিছে বলে
        শিবের জটার বন্ধনি দোলে,
মা-গঙ্গা তাই শ্মশানে প্লাবিয়া রক্তে উঠেছে রাঙি’,
ক্রন্দনে তাঁর বিভূতিভূষণ জেগেছে সমাধি ভাঙি’॥

সাগরের তলে মুক্তা-মালার নিক্বণ বাধে পায়ে,
শিশু ঊর্বশী তরাসে কাঁপিয়া শুক্তি-তলে লুকায়।
        দধীচির হাড় মেঘলোক ছিঁড়ি’
        দ্যুলোক এনে ফেলে ভূঁয়ে ঝিরিঝিরি—
অর্ণবপোত মন্দার-গিরি আছড়ানো ঢেউয়ে দীর্ণ;
অশিব আঁচড়ে হৃতা মা ধরার অঙ্গ যে পরিকীর্ণ!।

দেবতারা সেই সলিলে ডুবেছে, কূর্ম সেজেছে বিষ্ণু;
শিবের লেগেছে ধেয়ানের নেশা, ভাঙ্ করেছে সহিষ্ণু।
        মা মেদিনী ঐ কারাগার-কোণে
        বাঁধা হাত কাঁপা বুকে পল গোণে,
ধুলার কেতন কে কুড়াবে আজ অতীশ মাধবাচার্য্য—
সুরসৈনিক, তোলো তর্জনী, অসি-ভার শিরোধার্য!।

জাগো জাগো, দেব, গেরুয়া ধুলায় এই দেহ দাও লেপে;
ধ্বনিয়া উঠুক্ তোমার বিষাণ-কণ্ঠ আকাশ ব্যেপে!
        স্থিতধী বক্ষ হোক্ না উতল;
        নগ্ন দু’পায়ে কাঁপিয়ে ভূ’তল
রক্ত নয়নে সিঞ্চিয়া তোলো যজ্ঞবেদীর বাণী—
সাগ্নিক ঋষি, বেদভাষিণীর শৃঙ্খল পরিত্রাণি’॥

Comments

Post a Comment

Popular Posts