সেই বীর শহীদদের প্রতি, শ্রীরাম-উপাসনার অপরাধে যাদের তোপের মুখে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল তথাকথিত প্রশাসন, পারেনি।
(১৯৯০)
[On Oct 30th 1990, unarmed volunteers for the cause of the Rama Temple were fired at and murdered mercilessly, unethically and criminally by the anti-Hindu state government of UP (the volunteers were for a peaceful demonstration; they hadn't touched a brick of the so-called mosque structure). Conspiracy theories say that the mass murder and subsequent press sabotage were pre-planned, and judging by circumstances, you wouldn't see much of `conspiracy' in that theory. These verses are as an ode to those martyrs, who should've been remembered in the last few days of Temple Inauguration with more pomp and glory— in an era when their cause has been fulfilled.]
সাগর ধোয় যে রাঙা চরণ; মেঘ মাখে যাঁর কেশের সুবাস;
বাকল যাঁহার রৌদ্র-ছেঁচা গৈরিক রঙ; নয়ন উদাস
নীলাচলের প্রতিফলন— গাঢ় নীলের আঁধার নিশি;
অজিনাসন ত্যজিলে বীর, তটস্থ হয় দশটি দিশি;
পল্লবপায়ে রুক্ষ নুপূর; রুদ্রাক্ষের কণ্ঠহারে
ভাল্-চালানো কাঁধের পেশী সাজে সরল অলংকারে;
রক্ত-অধর প্রিয়নামে কাঁদায় বনের কোণায় কোণায়,
কর্ণে যাঁহার বনের পাখি পথের সুরের গজল শোনায়;
কেয়ুর মলিন যাঁর বাহুরই উজোর শ্যামল কালবরণে;
সাগরফেনা শাঁখ-প্রণবে অঞ্জলি দেয় যাঁর চরণে;
সোনার বেড়ির বাঁধন ছিঁড়ে ত্রাস-তিমিরে বনের পথে
চললে ছুটে যেই মুসাফির চরণধুলার পুষ্পরথে;
রাজা শ্রীরাম বনবাসী অভিযানের মরীচিকাতে—
দুপুর-রবি জ্বলে ওঠে ধক্ আঁখির দীপশিখাতে॥
সেই শ্রীরাম— বালক শ্রীরাম খেলেছে যেই ধূলির ’পরে,
যে সরযূর জোলো বাতাস মেতেছে তার আধো-স্বরে,
সবুজ আমের পাতায় বুলায় যার স্বচ্ছ আঁখির দিঠি,
হরিণশিশুর সঙ্গে যাহার ছুটোছুটির খেলার রীতি—
পুণ্য সে পথ, পুণ্য ধুলা। পুণ্য সেই তটিনীস্রোতে
ভাসাবে গা, সে-ইচ্ছাতে অপ্সরারা অমরা হ’তে
মর্ত্যলোকের রুক্ষ পথে নেমেছে ঐ তাথৈ নাচে।
ড্যাবা চোখে লক্ষ্মীপ্যাঁচা বসেছে ঐ কুলের গাছে।
ওরা সবাই পথের ধুলায় দেখেছিল— লুটিয়ে পড়ে
ভাগোয়া রঙ কেতনখানি রক্ত মেখে আঁকড়ে ধ’রে
শ্রীরামনামের মাহাত্ম্যতে তুরীয়ানন্দে যুবক শত,
ছত্রপতির ক্ষাত্রনীতির পদাতিকেরা যুদ্ধরত
ধুলার ’পরে সেইদিন ঐ নকল বুঁদিগড়ের দ্বারে—
যবন-আচার-কলুষিত আঙিনারই ভিতর-বারে।
রক্তে তাদের স্বতঃপ্রণোদিত প্রেমের বলিদানে,
অসুরপুরের কোতোয়ালির গুলির আঘাত অগ্নিবাণে—
উজ্বোক উপজাতির ঐ সে দস্যুর যত আবিল ছোঁয়া—
(বর্বরদের কয়েদখানায় শিবাজীকে যায় কি থোয়া?)
একা কুম্ভ রক্ত প্লাবি’ রাজরক্তে মায়ের পূজায়
করল শুচি যা ছিল রে পাপ, শান্তির শ্বেতাম্বুজায়।
শান্তি— সে শ্মশানে মানায়; কোথায় তবে প্রাণের প্রমাণ?
অশোকবনে শেকলি-বাঁধা ছিলেন সীতা, কী থাকত মান।
শান্তি ছিল সাগরজলে, শান্তি ছিল পরাজয়ে—
বাঁধল তায় আজানু-বাহু শ্রীরামনামের বিপর্যয়ে।
বিপর্যয়ের কাল্বোশেখী সৃষ্টিছাড়া শনির আঁখি,
কনভেনিয়েন্স বোঝে না যে, আরাম ওদের মস্ত ফাঁকি।
ওরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে; ও-মূর্খরা ভালোওবাসে!
ভালবাসা আরো তাদের উগ্ৰ হয় আঘাত-ত্রাসে।
ভয় দেখিয়ে ওদের কবে কে করে সংকল্প-হীন;
ল্যাজে যদি আগুন লাগায়, পোড়ায় লঙ্কা রে সে-দিন।
প্রেয়সীর ঐ অরুণ আঁখি, বন্দিনী মা’র অপেক্ষাতে
কাড়ে ওদের দিনের খাওয়া, কাড়ে আরাম-তন্দ্রা রাতে।
ওরা রে সব অশিব-ধাঁচে গড়া বিধির নিতান্ত ভুল—
রামে-শিবে-সায়ণ-বিদ্যারণ্যে ওদের প্রমাণ প্রতুল॥
বাজপেয়ী আর আদিত্যনাথ, তুলসী, নদেয়র চারণকবি—
মৈথিলীর দু’কমলনয়ন তাদের গানে উঠ্ল দ্রবি’।
রক্ত দিয়ে সে-প্রেমবারি সিঞ্চি’ দিল দামাল ছেলে,
আপন প্রাণ সে লুটিয়ে দিল যূপকাঠে আঁজলা ঢেলে।
তাদের রক্তে রঘূবীরের চরণরেখার মিলল রেণু—
গানে তাদের সুর মেলাল চারণসেনার বিষাণবেণু॥
Comments
Post a Comment